আগের তুলনায় ভালো করছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সবশেষ মুদ্রানীতি আর্থিক খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ধারা চললে আগামী দুই বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়বে। তবে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে মুদ্রা বিনিময় হার নমনীয় করার বিকল্প নেই— এ কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফের) এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনীতির আঞ্চলিক পূর্বাভাস বা রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গ্লোবাল আউটলুক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আলাদা প্রতিবেদন তুলে ধরে আইএমএফ। জানানো হয়, এশিয়া মহাদেশে তুলনামূলক দ্রুত কমেছে মূল্যস্ফীতি। ভারত ও চীনে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নতুন সুখবর দিচ্ছে প্যাসিফিক অঞ্চলে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা।
কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কমা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার নিয়ন্ত্রণ অর্থনীতিতে ভারসাম্য আনছে। চীন ভালো-খারাপ দুই ধরনের বার্তাই দিচ্ছে। কেননা দেশটিতে সার্বিক বিনিয়োগ বাড়লেও আবাসন খাতে মন্দাভাব আছে। আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দেশটির সম্পর্ক কোথায় যায়, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন আসে বাংলাদেশ ইস্যুতে। আইএমএফ জানায়, বড় কোনো শঙ্কা নেই। সে কারণে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি আগামী দুই বছর বাড়বে।
আইএমএফের এ পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফ বেশি কিছু বিষয়ে একসাথে কাজ করছে। আর্থিক খাতে উন্নতি চোখে পড়ার মতো। সে কারণে আমরা মনে করি চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। পরের বছর তা আরও ১ শতাংশ বাড়বে। কিন্তু টাকার ওপর চাপ কমাতে হবে। সেজন্য মুদ্রা বিনিময় হার আরও সহনশীল করার বিকল্প নেই। এশিয়ার অন্যান্য দেশও কিন্তু একই কাজ করছে।
এদিকে, ঋণের ৩য় কিস্তি ছাড় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বৈঠক করছে আইএমএফ।