আমীর খসরু বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা এখানে আছেন। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আগামী দিনে গনমাধ্যমের কি অবস্থা হবে সেটা তারা অনুধাবন করে উনারাও চাচ্ছে এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হোক। তারাও এ সরকারের বিদায় চায়। বাংলাদেশে আজ একটি ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে আমি অন্তত স্বাধীনতার পরে দেখিনি। যে ঐক্যমত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি, সুশীল সমাজ, কৃষক ও শ্রমিকের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে সে গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আমরা এ সরকারের পতন ঘটাব। বাংলাদেশে নির্বাচনের সরকার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতা দখলের মধ্যে দিয়ে কেউ যদি মনে করে আন্দোলন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তাহলে তারা ভূল। আসলে আন্দোলন আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। আন্দোলন আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। দেশে ও বিদেশে সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তি আজ ঐক্যমত হয়েছে। বাংলাদেশে একটি নির্বাচনের সরকার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে। আমীর খসরু বলেন, বিদেশীদের অভিনন্দন জানানোর অর্থ মানে এ নয় তারা নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, জাতিসংঘসহ সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষ্কারভাবে বলেছে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক থাকবে। ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়গ থাকবে। সেটার সঙ্গে অবৈধ সরকারকে গ্রহণ করার বিষয় এক নয়। প্রধান বক্তার বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে এখন কোথায় চলে এসেছি? আমি অনুরোধ করবো, ডিএনএ টেস্ট না করে বিএনপির নেতৃত্ব ঠিক করা যাবে না।কারণ নেতৃত্ব এখন অনেক দুর্বল জায়গায় চলে গেছে। তাই আমাদেরকে শক্ত হাতে দলীয় আদর্শের প্রতি বিশ্বাসী লোকদের নিয়ে আসতে হবে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হলে তার আদর্শিত নির্দেশনা মেনেই দল করতে হবে।
কেউ কেউ বলে, আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি। অথচ তাদের ডিএনএ টেস্ট করলে দেখা যাবে তারা সবাই বামপন্থী। বামপন্থী দিয়ে বিএনপি হবে না। বিএনপি হবে মধ্যপন্থি, ডানপন্থি ও ইসলামী পন্থি মানুষদেরকে নিয়ে। এর বাইরে বিএনপি হতে পারে না। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা অনেককে হারিয়েছি। তাই আমরা নতুন পরিকল্পনা শুরু করব। বিএনপিকে আবার স্বয়ংসম্পূর্ণ করবো জাতীয়তাবাদী শক্তির ভালো নেতৃত্বে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দেশে কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা নেই, সরকার সব ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু রাজনীতি নয়, সমাজের সবকিছু গ্রাস করছে সরকার। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত তারা। এস এম ফজলুল হক বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে সরকার। সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই পার্শবর্তী দেশে চলে গিয়েছিলেন। নেতৃত্বশূণ্য এই জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তার মেধা ও সামর্থ্যের কারণে তিনি দুইটা সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। বীর উত্তম জিয়াউর রহমান ছিলেন জেড ফোর্সের অধিনায়ক। এটাই ইতিহাস। এর বাইরে আর কোন বক্তব্য থাকতে পারেনা। আবুল হাশেম বক্কর বলেন, স্বাধীনতার সকল অর্জন আওয়ামী লীগ সরকার ম্লান করে দিয়েছে। জনগণের অধিকার হরণ করে তারা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্র আজ পুলিশের বুটের নিচে পিষ্ট। সরকারের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়। আবু সুফিয়ান বলেন, একাত্তরের যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র অর্জনের যুদ্ধ। আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের মৌলিক অধিকার নাই। পাঠ্যপুস্তকে বীরদের কথা লিখিত নাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে।
এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলার যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জসিম উদ্দিন শিকদার, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মীরসরাই সাবেক এমপি ওবায়দুল হক খন্দকারের কন্যা আইরিন পারভীন খন্দকার, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক ছালেহ নোমান, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. জানে আলম সেলিম, আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিষ্টার ওসমান চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ্ চিশতী, সদস্য সচিব কারী আবদুল আজিজ প্রমুখ।