কষ্ট করে হলেও ২৩৫ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা বড় ছিল না। কিন্তু পরে ব্যাটিং করা বেশ কষ্টসাধ্য হবে, এমনটাই বলা হচ্ছিল পিচ নিয়ে। সেই পূর্বানুমান মিথ্যা প্রমাণ করে তৃতীয় ওয়ানডে সহজে জিতেছে বাংলাদেশ। ৫৮ বল হাতে রেখে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২-১-এ নিশ্চিত করেছে ওয়ানডে সিরিজ।
হেসেখেলে বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম কারিগর রিশাদ হোসেন। মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৪৮ রানের ষষ্ঠ উইকেটের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর ক্রিজে নামেন তিনি। দল লক্ষ্য থেকে তখন ৫৮ রান দূরে। শ্রীলঙ্কার দরকার চার উইকেট। একটু হলেও অস্বস্তি ছিল। মিরাজের বিদায়ের ওভারে নেমে রিশাদ ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে দুটি ছয় ও চার মারেন। দুই ওভার পর লঙ্কান স্পিনারকে পেয়ে আবারও আগ্রাসী তিনি। ৪০তম ওভারে টানা দুই ছয় ও তিন চার মারেন রিশাদ। ওই ওভারে ২৪ রান তোলেন তিনি, ১৭ বলে তখন তার রান ৪৮। লক্ষ্য থেকে আর তিন রান দূরে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ বলে হাফ সেঞ্চুরির জন্য শট না খেলে মুশফিকুর রহিমকে জায়গা করে দেন। বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটার চার মেরে দলকে জেতান। মুশফিক খেলেন ৩৬ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১৮ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন রিশাদ। ২৫ বলে ৫৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল তাদের।
এর আগে ২৩৬ রানের লক্ষ্যে নেমে তানজিদ হাসান তামিম ও এনামুল হক বিজয় ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। এক প্রান্ত আগলে রেখে তামিম ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ও তাওহীদ হৃদয়ের ৪৯ রানের জুটি ভেঙে গেলেও মুশফিক ও মিরাজের ৪৮ রানের জুটি বাংলাদেশের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে। তারপর রিশাদের ক্যামিও ইনিংসে ৪০.২ ওভারে ৬ উইকেটে করে ২৩৭ রান। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।