চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদেরকে ইফতার মাহফিল করতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটকের বাইরে খোলা আকাশের নিচে ইফতার করেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের বাহিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত গণইফতারে অংশ নেন প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে গণইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছিল প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তবে প্রক্টরিয়ার বডি ক্যাম্পাসে ইফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন। এটা নিয়ে আছরের নামাজের পর আয়োজকদের সাথে প্রক্টরিয়াল বডির বাকবিতন্ডায় হয়। একপর্যায়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে করতে না পেরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে বাসস্ট্যান্ডে খোলা আকাশের নিচে ইফতারের আয়োজন করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হামদ, নাত পরিবেশন করেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ইফতার মাহফিল মুসলিমদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এরকম একটি অনুষ্ঠানে বাঁধা প্রদান অনভিপ্রেত। এরকম অনুষ্ঠানে বাঁধা প্রদান মূলত ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুনের প্রতি আঘাত হানা।’
গণইফতারির আয়োজকদের একজন ইয়াসিন আরাফাত বলেন, রমজানের মাহাত্ম্য নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব তুলে ধরতে ও ইসলামী সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে আমাদের এই ইফতার কর্মসূচি। তবে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ক্যাম্পাসেই প্রশাসন আমাদেরকে ইফতার করতে দেননি। এরচেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে। তবে এই বিষয়ে জানতে চাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘এরকম প্রোগ্রামের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগেই অনুমতি নেয়ার দরকার ছিলো।এই শিক্ষার্থীরা তা করেন নি।তাই ক্যাম্পাসের ভেতরে তাদেরকে ইফতার করতে দেয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উল্লেখ করে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। পরদিন সোমবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকেও একই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা গণইফতার কর্মসূচি পালন করছে।