বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম ১লা ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নবীরুল ইসলাম প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। বাড়তি বিদ্যুতের মূল্য ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনের বিদ্যুতের পাইকারি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ টাকা ৪৪ পয়সা, ১৩২ কেভিতে ৮ টাকা ৪৭ পয়সাৎ এবং ৩৩ কেভির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ টাকা ৬২ পয়সা।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহের ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনের জন্য বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৮ টাকা ৪৪ পয়সা, ১৩২ কেভির জন্য ৮ টাকা ৪৭ পয়সা এবং ৩৩ কেভির জন্য ৬ টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ২৩০ কেভির বিদ্যুতের পাইকারি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ টাকা ৪৪ পয়সা, ১৩২ কেভিতে ৮ টাকা ৪৭ পয়সা এবং ৩৩ কেভিতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ২৩০ কেভির জন্য বিদ্যুতের নতুন দাম ৮ টাকা ৪৪ পয়সা, ১৩২ কেভির জন্য ৮ টাকা ৪৭ পয়সা আর ৩৩ কেভির জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ টাকা ৫৮ পয়সা।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ২৩০ কেভির বিদ্যুতের দাম ৮ টাকা ৪৪ পয়সা, ১৩২ কেভির জন্য ৮ টাকা ৪৭ পয়সা এবং ৩৩ কেভির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ টাকা ৪৬ পয়সা।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের জন্য বিদ্যুতের নতুন দাম ২৩০ কেভিতে ৮ টাকা ৪৪ পয়সা, ১৩২ কেভিতে ৮ টাকা ৪৭ পয়সা এবং ৩৩ কেভিতে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ টাকা ০৪ পয়সা।
এর আগে সকালে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ ও খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মার্চ থেকে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজার বিবেচনা করে তেলের দামও সমন্বয় করা হবে। শিল্প ও আবাসিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ছে না। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়বে প্রতি ইউনিট ৭৫ পয়সা।
দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের অন্যতম কারণ। গত বছর থেকে সমস্যা হচ্ছে। সেই মূল্য কিছুটা সমন্বয় করা হয়েছে। গ্যাসের দাম ১৪ দশমিক ৭০ টাকা ধীরে ধীরে সমন্বয় করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এ বছর ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে। ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে দাম সমন্বয় করা হবে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ এখন প্রায় ১২ টাকা। কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে প্রায় ৭ টাকা। মনে হয় খুব বেশি সমস্যা হবে না।