চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল। তবে ম্যাচ কখনো নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি দলটি। দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তাকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন সৌম্য সরকার এবং কাইল মেয়ার্স। এই ৩ জনের ব্যাটে সহজেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে তামিম ইকবালের দল।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। রংপুরের দেয়া ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে বরিশাল।
এই জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে তামিমের বরিশাল। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত কয়েকবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অধরা থেকে গেছে দলটির। এবার শিরোপার লড়াইয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে রংপুরের মতোই হোঁচট খায় বরিশাল। প্রথম ৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২২ রান করে তারা। তৃতীয় উইকেটে ম্যাচের হাল ধরেন মুশফিক এবং সৌম্য। ৪৭ রানের দারুণ জুটি গড়ে ম্যাচকে নাগালের মধ্যেই রাখেন তারা।
২২ রানে সৌম্য সরকারকে আউট করে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ নবি। তবে তাতে তেমন ক্ষতি হয়নি বরিশালের। পাঁচ নম্বরে নেমে ১৫ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মেয়ার্স। তাতেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালের।
২৮ রান করে ফজলহক ফারুকির বলে আউট হন মেয়ার্স। ডেভিড মিলারকে নিয়ে ইনিংসের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন মুশফিক। ৩৮ বলে ৪৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মুশফিক। ১৮ বলে ২২ করেন মিলার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে কেবল ২৬ রান তুলতে পারে নুরুল হাসান সোহানের দল। প্রথম কোয়ালিফায়ারের মতো এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। ৪ বল খেলে ১ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। রানের দেখা পাননি ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা শেখ মেহেদীও। দুজনকেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
নিকোলাস পুরানকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন জেমস নিশাম। তবে বেশিরভাগ রানই এসেছে নিশামের ব্যাট থেকে। অন্যপ্রান্তে থাকা পুরান ১২ বল করেন মোটে ৩ রান। মিরাজের বলে পুরান ফেরার পর নিশামকে ফেরান জেমস ফুলার। ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হন তিনি।
৪৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর হাল ধরার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নবি এবং নুরুল হাসান সোহান। তবে দুজনের জুটি ২৮ রানের বেশি টেকেনি। ১৫ বলে ১২ রান করে ফেরেন নবি। একই ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন সোহানও।
৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে যখন রংপুরের আশা একদম নিভু নিভু তখন ত্রাতা হয়ে আসেন শামীম পাটোয়ারি। একাই ম্যাচের চিত্র বদলে দেন তিনি। ২৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ৫ চার ও ৫টি ছক্কা মেরেছেন শামীম। টেইলেন্ডার হিসেবে অন্যপ্রান্তে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন আবু হায়দার রনি। ৩১ বলের জুটিতে ৭২ রান যোগ করেছেন এই দুজন। ৯ বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন রনি।
বরিশালের হয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন জেমস ফুলার। সাইফউদ্দিন পেয়েছেন ২ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।