পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী আজ। বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ রোববার দিবাগত রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় নফল ইবাদত–বন্দেগীর মধ্যদিয়ে বরকতময় এই রাতটি পালন করবে। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন, তেলাওয়াত, জিকির–আজকারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন। এদিকে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ রোববার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে আসন্ন পবিত্র রমজানে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে পবিত্র শবে বরাতের মাহত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’
চট্টগ্রাম দরবার শরীফ : পবিত্র লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে চট্টগ্রাম দরবার শরীফের উদ্যোগে আজ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচিতে রয়েছে–কোরান খতম, যিকির–কিয়াম, ছামা মাহফিল। রাতে শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে তকরির পেশ করবেন দরবারের সাজ্জাদানশীন ও রাহে ভান্ডার তরিকার পীর আল্লামা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাজিআ)। এতে আশেকানে মাইজভান্ডার ও রাহে ভান্ডারীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য দরবারের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে।
কাগতিয়া দরবার শরীফ : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেঙ ময়দানে আজ রবিবার দিন–রাতব্যাপী পবিত্র শবে বরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাদে নামাজে যোহর পবিত্র খতমে কুরআন ও পবিত্র শবে বরাত শীর্ষক আলোচনা। বাদে নামাজে আছর তরিক্বতের বিশেষ পদ্ধতিতে ফয়েজে কুরআন প্রদানের মাধ্যমে নূরে কুরআন বিতরণ। বাদে নামাজে মাগরিব ফাতেহা শরীফ আদায়, ঈছালে ছাওয়াব ও মোরাকাবা। কাবলে নামাজে এশা জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী, বাদে নামাজে এশা মোর্শেদে আজমের তকরির, মিলাদ–কিয়াম, মোনাজাত ও তরিক্বতের নির্দিষ্ট তরতীবে দরূদে মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আদায়।