ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রাণ দিতে হলো এক তরুণকে। আর যাতে তার প্রাণ গেল, সেও আর কেউ নয় তারই প্রাক্তন প্রেমিকা। প্রেমিকা তার বর্তমান প্রেমিককে সঙ্গে নিয়েই করেন এই কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুয়াহাটির একটি হোটেলে।
অভিযুক্ত প্রেমিকার নাম অঞ্জলি সাউ এবং তার বর্তমান প্রেমিক রাকেশ সাউ। আর খুন হয়েছেন সন্দীপ সুরেশ কাম্বলি।
কলকাতার আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,অঞ্জলি কলকাতা বিমানবন্দরের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। সেই সময় সন্দীপের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, পরে তা সম্পর্কে গড়ায়।
এই সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভাব হয় রাকেশের। এদিকে সন্দীপের ফোনে অঞ্জলির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ছিল। পরে রাকেশ অঞ্জলিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করে। সন্দীপের ফোনে থাকা অঞ্জলির অন্তরঙ্গ ছবি সরানোর পরিকল্পনা করেন রাকেশ।
সে মোতাবেক কলকাতা বিমানবন্দরে সন্দীপকে দেখা করতে বলেছিলেন অঞ্জলি। কিন্তু তিনি রাজি হননি। বরং কলকাতায় না এসে গুয়াহাটিতে অঞ্জলির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেন। গুয়াহাটিতে বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি হোটেলের রুম বুক করেন তিনি। রাকেশও আগে থেকে ওই রুমে রুম বুকিং করেন।
এদিকে সন্দীপ জানতেন না যে রাকেশও একই হোটেলে আছেন। ফলে হঠাৎ রাকেশকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দীপ। তাদের হাতাহাতি হয়। সেই ঘটনায় গুরুতর জখম হন সন্দীপ।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সন্দীপের মোবাইল ফোন দু’টি নিয়ে রাকেশ এবং অঞ্জলি হোটেল ছেড়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হোটেল কর্তৃপক্ষ সন্দীপের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে ও পুলিশে খবর দেয়।
হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অঞ্জলি এবং রাকেশকে চিহ্নিত করে পুলিশ ও তাদের গ্রেপ্তার করে।