স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার সংকট লেগেই আছে। আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমার আর্মির যুদ্ধ চলছে। আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না, যুদ্ধ চাইও না। এটা প্রধানমন্ত্রী সবসময় আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তার মানে এই নয় যে, আমাদের গায়ে এসে পড়বে আর আমরা ছেড়ে দেব। সেটার জন্য আমরা সবসময় তৈরি আছি। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। গতকাল থেকে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে লাগাতার গুলি ও মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমারের একটি গোলা সীমান্ত অতিক্রম করে এসে সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্লাসে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমার জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীকে বলে দিয়েছি, কোস্ট গার্ডকেও নির্দেশনা দিয়েছি যাতে কোনভাবেই আমাদের সীমানায় কেউ না অনুপ্রবেশ করতে পারে। সে ব্যাপারে আমরা খুব সতর্ক রয়েছি। তীব্র গোলাগুলিতে দিশেহারা হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মিয়ানমারের ঘটনা নতুন নয়। বর্ডার গার্ড পুলিশ আমাদের সীমার ভেতরে ঢুকে সহযোগিতা চেয়েছেন। তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের সাথে আলোচনা হচ্ছে। এদিকে, সীমান্তের ওপার থেকে গুলি ও মর্টারশেল বাংলাদেশে আসায় জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু, কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকার শত শত পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদরাসাসহ সীমান্ত এলাকার ৫টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের ভেতরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক। এসব গোলাবারুদ আর বিস্ফোরকের বিকট শব্দে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।