ঢাকাবুধবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মেসি

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আর্লিং হলান্ড ও কিলিয়ান এমবাপেকে হারিয়ে ২০১৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।

লন্ডনে সোমবার রাতে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে পুরস্কারটির বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি।
টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে অষ্টমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
গত সেপ্টেম্বরে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রথমে ১২ জনের তালিকা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয় ফিফা ওয়েবসাইটে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটে।

এবার পুরস্কারটি জয়ের সম্ভাবনায় ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবলজয়ী স্ট্রাইকার হলান্ডকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। ২০২২-২৩ মৌসুমে সিটির জার্সিতে নরওয়ের তারকার পারফরম্যান্স ছিল রীতিমতো চোখধাঁধানো।

গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ৩৬ গোল করেন হলান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেন ক্লাব রেকর্ড ৫২ গোল। সেরার জন্য বিবেচিত সময়ে ৩৩ ম্যাচে তার গোল ছিল ২৮টি।
ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুরস্কারটি জিততে হলান্ডের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে মেসির। ভোটাভুটিতে দুজনই সমান ৪৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়েছেন। কিন্তু (নিয়মের ধারা অনুযায়ী) জাতীয় দলের অধিনায়কদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যকবার প্রথমে থেকে এগিয়ে যান মেসি। এমবাপে ৩৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
বিভিন্ন নামে ১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থাটি। শুরু থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দা ইয়ার’ নামের পুরস্কারটি একবার জেতেন মেসি,২০০৯ সালে।

সেই থেকে শুরু সেরার মঞ্চে এই মহাতারকার আধিপত্যের।
পরের ৬ বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ব্যালন দ’র। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ২০১০,২০১১,২০১২,২০১৫ সালে। এরপর বর্তমানের ‘দা বেস্ট’ নাম দেয় ফিফা, যেটি মেসি প্রথম জেতেন ২০১৯ সালে। এরপর টানা দুইবার পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।

গতবার মেসির বর্ষসেরা হওয়ায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল কাতার বিশ্বকাপে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দলকে বিশ্বকাপ জেতানোয় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।