আমি অনেককে দেখি ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ বলে বক্তৃতা শুরু করে। আমরা তো কখনও বঙ্গবন্ধুকে এভাবে বক্তৃতা শুরু করতে দেখিনি। এটা কেন করে জানেন? কারণ সবাই মুসলমান প্রমাণ করতে চায় নিজেকে। আমি মনে করি বাঙালিদের মুসলমান প্রমাণ করার দরকার নেই।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল এগারোটায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস উৎযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, মুসলমান প্রমাণ করার প্রবণতা পাকিস্তানি শাসকদের কারণে তৈরি হয়েছে। কারণ তারা মনে করতো বাঙালি হতো অর্ধেক হিন্দু, অর্ধেক মুসলমান। তারা বেয়াদব। তারা কথায় কথায় প্রতিবাদ করে।
বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের ইচ্ছে ছিল যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশে একটা মুসলিম সুশীল সমাজ তৈরি করতে পারবে। কারণ তৎকালীন পাকিস্তানি আমলারা মনে করেছে যে বুদ্ধিজীবীরা বাঙালিকে বেয়াদব হিসেবে তৈরি করেছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের প্রথমবারের মতো গণহত্যা বিষয়ক জিপিএস তৈরি করা হয়েছে। আমরা জানি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ২ লাখ মা-বোনকে নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু আমি গবেষণা করে দেখিছি এই সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষাধিক।
চবি রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং স্বাগত বক্তব্যে চবি প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার।