আলু কিনতে বহু দিন ধরেই পকেট পুড়ছে সাধারণ মানুষের। এ বার পেঁয়াজের দাম যন্ত্রণা আরও বাড়াল। ভারতে রপ্তানি মূল্যবৃদ্ধির খবরে চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে হু হু করে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম।
একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম মণপ্রতি বেড়েছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।
জানা গেছে, রবিবার (২৯ অক্টোবর) দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে নতুন আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া রোববার পুরোনো ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। বাজারে চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আছে, তবে সরবরাহ নেই বললেই চলে। এগুলোর দামও ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। শনিবার এসব পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ টাকা।
জানা গেছে, সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছে ভারত। শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন এই মূল্যসীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি)।
পেঁয়াজের বেধে দেওয়া সর্বনিম্ন এই রপ্তানি মূল্য আজ রোববার থেকেই কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে রপ্তানির জন্য প্রক্রিয়াধীন এবং ইতোমধ্যে দেশটির কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা পেঁয়াজ নতুন এই মূল্যসীমা থেকে ছাড় পাবে।
জানতে চাইলে চাক্তাইয়ের আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন বলেন, আগে ভারত সর্বনিম্ন ৪০০ ডলারে পেঁয়াজ রপ্তানি করত। এখন হঠাৎ ৮০০ ডলার করে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে বাজারে। গতকাল (শনিবার) পেঁয়াজের দাম ছিল থেকে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আজ (রোববার) বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এর আগে গত আগস্টে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সেই সময় জানানো হয়েছিল রপ্তানি শুল্ক আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে এবং বাজারে সরবরাহ কমছে। এ কারণে পণ্যটির দাম বাড়ছে।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ভারতের বর্ধিত মূল্যের পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। আগেভাগে এত দাম বেড়ে গেল। এখন তো বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি আছে। কোনো অজুহাত পেলেই তারা দাম বৃদ্ধি করে দেবে, এটাই স্বাভাবিক।