বোয়ালখালীতে আনু- কালামের টোকেন বাণিজ্য রমরমা। মাসোহারা দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দলীয় নেতাদেরকে।
বিগত একবছর যাবত বোয়ালখালী থানার বিভিন্ন এলাকা হতে চান্দগাঁও কাপ্তাই রাস্তার মাথায় আগত গ্রাম সি নজি ফোর স্টক গাড়ী থেকে তথাকথিত সড়ক নেতা আবুল কালাম ও চাঁদাবাজ আনু মিয়া আনু,মোরশেদের মাধ্যমে ৭০০সাতশত গাড়ী হতে গাড়ীপ্রতি থেকে ৭০০সাতশত টাকার টোকেন দিয়ে প্রতিমাসে চার লাখ সত্তর হাজার অবৈধভাবে আদায় করে আসছে বলে প্রতিয়মান। কালাম আর আনু মিলে টোকেন বাণিজ্য টাকা সমূহ বিভিন্ন হাতে মাসোহারা হিসাবপ বন্টন করে থাকে,গোপনীয় ভাবে জানা যায়। এক মাত্র বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আছহাব উদ্দিন ব্যতীত অন্যান্য প্রশাসনকে প্রতিমাসে তাদের সাথে মৌখিক চুক্তি মোতাবেক নিধারিত সময়ে পরিশোধ করতপ হয়।
প্রতিমাসে চান্দগাঁও থানায় দিতে হয় ৬৮ হাজার টাকা,কাপ্তাই রাস্তার মাথায় দায়ীত্ব পালনরত টি আই কে, টি আই এর পালিত দালাল জয়নালের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয় ৭০ হাজার টাকা, কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়িকে দিয়ে থাকে ১০ হাজার টাকা, কাপ্তাই রাস্তার মাথার পুলিশ ফাঁড়িকে দিয়ে থাকে ১০ হাজার টাকা,দৈনন্দিন দায়ীত্বরত সার্জেন্টদেরকে দিয়ে আসছে ৩৬ হাজার টাকা, আরো বিভিন্ন খাতে খরচ করতে ৫০ হাজার টাকা,বোয়ালখালী পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে দিতে হয় ৩০ হাজার টাকা, তাঁরা টোকেনের নামে চাঁদাবাজি করে আসছে সাধারণ গাড়ি চালকদের কাছ থেকে।এই রক্ত ঘামের টাকা জোরপূর্বক আদায় করে দুনীতি বাজ পুলিশ অফিসারদে পেট ভরাচ্ছে। আনু আর কালাম এরা চিহ্নিত চাঁদাবাজ, তাদের কাছ থেকে ৭০০ শত টাকার বিনিময়ে টোকেন সংগ্রহ না করলে তাহলে চালকদের উপর শারীরিক মানসিক নির্যাতনসহ বোয়ালখালী উপজেলা এলাকা হতে নদী পার হয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় আসতে পারবেনা।নদী পার হওয়ার সাথে সাথে কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি অথবা কাপ্তাই রাস্তার মাথার পুলিশ ফাঁড়ি,না হয় দায়িত্বরত টি আই সার্জেন্টদের মাধ্যমে আটক করে কোন কথা ছাড়া গাড়ি গুলো টুকরে দিয়ে থানায় পাঠিয়ে দেবে, অন্যাদিকে চান্দ গাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে বিভিন্ন অজু হাত দেখিয়ে গাড়ির চালকদের আটক করে থাকে,বিশেষ করে থানা প্রশাসনের মাধ্যমে আনু ও কালাম তাদের অবাধ্য গাড়ি সমূহ আটক করতে বাধ্য করে,গাড়ির চালকরা নিরুপায় হয়ে তাদের কাছ থেকে অবৈধ টোকেন নিতে বাধ্য হয়। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী সাধারণ সি এনজি চালকরা মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।গোপন সূত্রে আরো জানাজায় যে আনু আর কালাম জামায়াতে সংগঠনের নেতা হারুনের অনুসারী, তারা প্রতিমাসে হারুনকে একটি অংকের টাকা দিয়ে থাকে।সরকারের গোপনীয় সংস্থার মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেফতার করলে আসল রহস্য প্রকাশ পাবে,তবে তাদের সকল অপকর্মে ধামাচাপা দিয়ে থাকে বোয়ালখালী পৌরসভার কাউন্সিলর বলে জানা যায়।