আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। অশিক্ষিত ও মূর্খদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশের কোনো অগ্রগতি হয় না। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত উন্নয়ন করেছিলাম। কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় গিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল বিকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ইলেকশন (নির্বাচন) তাদের কথা নয়, ওরা (বিএনপি) ভোট করতে আসে না, ভোট চায় না, ভোট পাবেও না। তারা জনগণের অধিকার নিয়ে আবারও ছিনিমিনি খেলতে চায়।
গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। কারণ তাদের জন্ম হয়েছে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে। তারা গণতন্ত্রেও বিশ্বাস করে না। তারা নাকি এখন গণতন্ত্র উদ্ধার করবে।
বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগসহ সব সংগঠনের নেতাদের সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের বিষয়ে জনগণকে মনে করিয়ে দেবেন ওরা (বিএনপি) ভোট করতে আসে না। ভোট পায় না। ভোট চায় না। ভোট পাবে না। কারণ তারা তো লুটেরা, সন্ত্রাসী। মানুষের শান্তি কেড়ে নেয়। মানুষের সম্পদ-ঘরবাড়ি কেড়ে নেয়। তারা জঙ্গিতে বিশ্বাসী। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি। এরা কখনো মানুষের কল্যাণ করতে পারে না।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ছাত্রদলকে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। বলেছিল, ছাত্রদল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট। আমি ছাত্রলীগকে দিয়েছিলাম খাতা-কলম। বলেছিলাম, পড়াশোনা করতে হবে। লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ না হলে কোনো আদর্শ বাস্তবায়ন করা যায় না।
ছাত্রসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল সারা দেশ থেকে রাজধানী ঢাকায় নামে রীতিমতো তারুণ্যের ঢল। সকাল থেকেই নানা রংবেরঙের গেঞ্জি, টুপি ও সংগঠনের পতাকা হাতে নিয়ে প্রবেশ করতে থাকে সমাবেশে। এরই মধ্যে দুপুরে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাকভেজা হয়েও তারা নড়েননি। দিনটি শুক্রবার হওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই জুমার নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। নামাজও আদায় করেন নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট, কালীমন্দিরের গেট ও রমনার আইইবির সামনের গেটেও ভিড় দেখা যায়। সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ লাইন ছিল। সমাবেশ শুরুর আগেই সারা দেশ থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।