ঢাকামঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজও ভেসেছে বন্দর নগরী, সিডিএর ঘাড়ে দোষ চাপালেন মেয়র

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
আগস্ট ৫, ২০২৩ ১১:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দ্বিতীয় দিনের মতো বৃষ্টির পানিতে ভেসেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানিতে নগরীর বেশিরভাগ নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। নগরীর নিচু এলাকার সড়কের কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথাও কোমর পান জমে যায়। ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। এদিকে বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে বাড়ি, দোকানপাট ও মসজিদেও। গতকাল শুক্রবারও একইভাবে পানিতে তলিয়ে যায় নগরী।আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে। 

শনিবার নগরের টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ছিল। এ সভায় অংশ নিতে বাড়ি থেকে রিকশাযোগে বেরিয়ে মূল সড়কে থাকা অন্য একটি গাড়ি নিয়ে চসিক পৌঁছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সভাশেষে বাসায় ফিরতেও তিন চাকার রিকশাতে ওপর ভর করতে হয় তাকে। বাড়ির সামনে ও উঠানে হাঁটু পানি থাকায় মূল সড়ক থেকে রিকশা নেওয়া হয় মেয়রের জন্য। সে রিকশায় চড়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বাসায় ফিরে সাংবাদিকদের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে সাধারণ মানুষ সিটি করপোরেশনকে গালাগালি করছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা প্রকল্পে আমাদের করপোরেশনের কোন হাতই নেই। আমি এটাও বলেছি আমাদর প্রতিটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য। এ পর্যন্ত কোনদিন কোন কাউন্সিলরকে ডাকেনি। উনারা (সিডিএ) উনাদের মত কাজ করছেন।’

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আরও ২ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এ কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানিয়েছেন, মূলত নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।