এর আগে সরকার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্বার্থ দেখার জন্য একাধিক লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। কিন্তু তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সরকারবিরোধীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বরং দেশে আরো এনার্জি পাই কিভাবে, দেশে লোকের কর্মসংস্থান হয় কিভাবে, বিনিয়োগ বাড়ে কিভাবে; সে জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেন। তাহলে দেশের মঙ্গল হবে।
মোমেন বলেন, ‘দেশ আপনার, আমার, সবার। যারা বিরোধী দলে রয়েছে তাদেরও দেশ এটি। সুতরাং দেশকে ধ্বংস করে লাভ নাই।’ কারণ ধ্বংস হলে সবার ক্ষতি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোদি-বাইডেনের বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘ওই দেশের কে কী নিয়ে আলাপ করবে, এটা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা কেন?’
গত ১২ জুন ভারতের বারানসিতে জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘অনেক আলাপ হয়েছে। আমরা একই পর্যায়ে কাজ করছি। আমি খুব খুশি ও সন্তুষ্ট। ভারত সরকার আমাদের অত্যন্ত সম্মান দিয়েছে।’
বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের চিঠির বিষয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে সরাসরি উত্তর না দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা লিখেছে তাদের প্রেসিডেন্টের কাছে। তারা সেটি লিখতেই পারে। তবে মিথ্যা তথ্য লিখলে সেটি খারাপ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চিঠিতে কিছু তথ্যের গরমিল আছে। ভুল ও মিথ্যা আছে। যেমন—একটি মিথ্যা হলো গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনার সরকারের সময় ৬০ শতাংশ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে চলে গেছে। এটি সত্য না। তারা বলছে খ্রিস্টানদের ওপর অত্যাচার হয়। এটি সত্য না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারা কোথায় চিঠি চালাচালি করছে—এটি তাদের মাথাব্যথা, আমার নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ভুল তথ্য দিয়ে কেমন করে চিঠি লেখে এ বিষয়ে তাদেরকে সুধীসমাজ ও মিডিয়ার প্রশ্ন করা উচিত। চিঠিটা পড়ে মনে হয়েছে, অপরিপক্ব হাতের লেখা।’