ঢাকাবুধবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সবাই ভালো থাকবেন, ক্ষমতায় না এলে সবার কষ্ট হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুন ১২, ২০২৩ ১১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে নানা চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই চায় না আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। সেজন্য উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে, সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে যে উন্নয়ন হয়েছে তার সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সোমবার দুপুরে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

‘সব হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে আমরা একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি। যাদের মনোনয়ন দিতে পারিনি তাদের হয়ত কষ্ট লাগবে। কারণ তারাও যোগ্য। সামনের দিনে আমরা অবশ্যই তাদের দেখব। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সবাই ভালো থাকবেন। ক্ষমতায় না এলে সবার কষ্ট হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘দেশবিরোধী, খুনি, মৌলবাদী চক্র, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের উল্লেখ করে বলেন, ‘যাদের উস্কানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে, তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদের ব্যবহার করবে।

‘আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের জীবনমান উন্নত হয়। এর প্রমাণ আমরা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান-মর্যাদা বেড়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দেশে যে পরিবর্তন দৃশ্যমান, এটা আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ১৯৭৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যে অন্যায়-অত্যাচার হয়েছে আমরা তার প্রতিশোধ নেইনি। আমরা অন্যায়ের জবাব দিচ্ছি উন্নয়ন করে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। দলে দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ প্রধান।

তিনি বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে। আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোনো অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে তৃণমূল পর্যায় থেকে।

‘বাবা-মা, ভাই সবাইকে হারানোর পর আওয়ামী লীগই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। তারাই আমার একমাত্র ভরসা।’

‘বিএনপির নির্বাচন মানে ১০টা হোন্ডা ২০টা গুণ্ডা নির্বাচন’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও ভোটারবিহীন নির্বাচন করেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ সংগঠনের নেতারা।

সভায় ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ২২ জনের মধ্যে ১৮ জন উপস্থিত ছিলেন।