সবুজে ঘেরা পাহাড়ে নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে গড়ে তোলা ব্যতিক্রমী এক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। গাছের শাখায় দোল খায় পাখি, সবুজ ঘাসে খেলা করে মিষ্টি রোদ। এর ফাঁকে ফাঁকে গড়ে উঠেছে যেসব ভবন, সেগুলো নিছক ইট, কাঠ-পাথরের সম্মিলন নয়, আকাশছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় নামা কোনো দালানও নয়, এগুলো যেন একেকটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যকীর্তি !
প্রতিটি স্থাপনায় আধুনিকতা আর ধ্রুপদী নির্মাণশৈলীর ছাপ খুঁজে ফেরেন নন্দনতাত্ত্বিক মূল্যবোধের মানুষ। শুধু ক্যাম্পাস সাজিয়েই অনন্য নয় দেশের বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও নিয়মিত রেখে চলেছে ব্যতিক্রমী নানা দৃষ্টান্ত। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার সাঈদ আল নোমানের ভাষায়, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) বিত্ত দিয়ে গড়ে ওঠেনি, চিত্ত দিয়ে গড়ে উঠেছে। আর এই চিত্তের টানেই প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থীর সম্মিলনে মুখরিত হয় চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব নাসিরাবাদের নোমান সোসাইটির সুবিশাল ক্যাম্পাস।
চিত্ত দিয়ে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে ব্যতিক্রম হিসেবে গড়ে তুলেছে আরও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেমিস্টারের পাঠদান শুরু হয় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান খাইয়ে। শুক্রবার (১৯ মে) এমনই এক আয়োজনে প্রাণ-প্রকৃতির ক্যাম্পাসে বসেছিল হাজারো প্রাণের মেলা। নতুন-পুরাতন শিক্ষার্থী শুধু নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও এতে শরিক হয়েছিলেন।
শুক্রবার সকালে ছিল ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভ অনুষ্ঠান। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, রাজনীতি, জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানোর পরও যিনি শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত, তিনিই এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। সবুজ ক্যাম্পাসের নান্দনিক স্থাপনা দেখে বিমুগ্ধ মন্ত্রীও। অকুন্ঠ প্রশংসা করেছেন প্রতিষ্ঠান পরিচালনয় যুক্তদের। মানসম্মত শিক্ষার প্রশংসার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের দিয়েছেন শিক্ষকসুলভ নানা উপদেশও।