আজ সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে স্মার্ট চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান, এনডিসি। সভায় প্রথমেই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আওতাধীন সকল প্রকার লাইসেন্স ম্যানেজমেন্ট এর জন্য একটা স্মার্ট লাইসেন্সিং অ্যাপসের শুভ উদ্বোধন করেন আইসিটি সচিব।
এখন স্মার্ট লাইসেন্সিং অ্যাপসের মাধ্যমে ঘরে বসেই লাইসেন্সের আবেদন করা যাবে। গ্রাহকরা নির্ধারিত ফি প্রদান করে লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়াও ঘরে বসেই সম্পন্ন করতে পারবে।
মতবিনিময় সভায় স্মার্ট চট্টগ্রাম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন কতৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের ভিশন ২০৪১ কে সামনে রেখে চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মার্ট চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন সেল গঠন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ফোকাল পারসন নিযুক্তি, ওয়াবসাইটে স্মার্ট চট্টগ্রাম ডেডিকেটেড কর্ণার সংযোজন, স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া এওয়ার্ড ঘোষণা , আইডিয়াসমূহের উপর বুটক্যাম্প আয়োজন, আইডিয়া শোকেসিং ও স্মার্ট বাংলাদেশ উৎসব আয়োজন, বিষেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি, স্মার্ট চট্টগ্রাম ২০৪১ এর রোডম্যাপ তৈরি অন্যতম। এসময় জেলা প্রশাসক স্মার্ট চট্টগ্রাম বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসমুহ উপস্থাপন করেন।
সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি সচিব চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সকল উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং স্মার্ট চট্টগ্রাম বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করেন। তিনি নাগরিকদের স্মার্ট নাগরিকে রূপান্তরের মাধ্যমে স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণ ও সরকারি সেবা ব্যবস্থায় স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেন। স্মার্ট চট্টগ্রাম রোডম্যাপ নিয়ে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আইসিটি সচিব তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে জানান: কোয়ান্টাম কম্পিউটিশন এবং ফিউশন এনার্জি নিয়ে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকবৃন্দ সহ গণ্যমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১ টায় লেডিস ক্লাব প্রাঙ্গনে আর্নিং ও ল্যার্নিং প্রকল্পের সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারী তরুন তরুণীদের মধ্যে সনদ ও ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।