চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরের কেন্দ্রীয় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এই প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব সৈয়দ আলাউদ্দিন আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী।
নামাজ শুরুর আগেই মুসল্লিদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ। সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইমামতি করেন পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আহমদুল হক।
প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণের জন্য ছিল সুবিন্যস্ত আয়োজন
স্থাপন করা হয় ১৪২টি সিলিং ফ্যান, ৭০টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা
সিসিটিভি ক্যামেরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরের বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো:
লালদীঘি পাড় সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদ
হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ
সুগন্ধা আবাসিক জামে মসজিদ
চকবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি), আরেফীন নগর, সাগরিকা মা আয়েশা সিদ্দিকী জামে মসজিদ প্রভৃতি
এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটি ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৮টায় নগর জিমনেসিয়াম মাঠে বড় পরিসরের আরেকটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ইমামতি করেন আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান, বায়তুশ শরফ আদর্শ সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ।
কমিটির আওতায় আরও ৯৩টি আঞ্চলিক ঈদগাহ মাঠেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজ ইসলামে সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা দুই রাকাতের নামাজ এবং অতিরিক্ত ছয়টি তাকবিরসহ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে খুতবা শোনা মুস্তাহাব। নতুন পোশাক পরিধান, কোলাকুলি, ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন মুসলমানরা।
নামাজ শেষে নগরের বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানির কার্যক্রম শুরু হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, বিকাল ৫টার মধ্যে কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ করে নগর পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা চালানো হবে।
এই আয়োজনে ঈদের ধর্মীয় পবিত্রতা ও সামাজিক সৌন্দর্য একসঙ্গে প্রতিফলিত হয় চট্টগ্রাম শহরজুড়ে।