চট্টগ্রামের কোরবানির হাটগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। তবে গরুর চড়া দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। ব্যাপারিরা বলছেন, লালন-পালনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় পশুর দামও বেশি। এই বাস্তবতায় ছোট ও মাঝারি গরুর দিকে ঝুঁকছেন বেশিরভাগ ক্রেতা।
নড়াইল থেকে আসা ব্যাপারি কাউসার আলী জানান, তিনি ৮০টি গরু এনেছেন, যার মধ্যে ৩৫টিই ছোট আকারের। তার মতে, এবারও সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে থাকা গরুগুলোর। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, ১-১.৫ লাখ টাকার গরুর দাম ২-২.৫ লাখ টাকা হাঁকা হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, হাটে লোকজনের উপস্থিতি বাড়লেও এখনো বেশিরভাগ ক্রেতা দরদামই করছেন, কিনছেন না। লাভের হার কম হওয়ায় অধিকাংশ ব্যাপারি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার স্থানীয়ভাবে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি গবাদিপশু উৎপাদিত হয়েছে। তবে সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৭টি পশুর।
এবার চট্টগ্রামে উৎপাদিত পশুর মধ্যে গরুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩টি। এছাড়া রয়েছে ৬৪ হাজার ১৬৩টি মহিষ, ২ লাখ ৫১ হাজার ৭৪টি ছাগল এবং ৫৫ হাজার ৬৯৭টি ভেড়া।
নগর ও বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গবাদিপশু উৎপাদিত হয়েছে পটিয়ায় (৭৮,৭৯১টি), ফটিকছড়িতে (৭৮,৫৩০টি), সন্দ্বীপে (৮৫,২৫০টি) এবং আনোয়ারায় (৬৫,২১১টি)।
চট্টগ্রামের হাটগুলোতে পশুর সরবরাহ ও চাহিদার এই ব্যবধান পূরণে বাইরের জেলা থেকে পশু আসার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে দাম এবং ক্রয়ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় অনেক ক্রেতা এখনো অপেক্ষা করছেন শেষ সময়ের।