ঢাকামঙ্গলবার, ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফটিকছড়িতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ প্লাবন, বাড়ছে বন্যার শঙ্কা

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জুন ২, ২০২৫ ১:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ভয়াবহ প্লাবন দেখা দিয়েছে। হালদা, ধুরুং ও সর্তা নদীসহ এলাকার অধিকাংশ খাল-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে, কোথাও কোথাও তা ইতিমধ্যেই সীমা অতিক্রম করেছে।

গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার দাঁতমারা, নারায়নহাট, ভুজপুর, সুয়াবিল, লেলাং, রোসাংগিরী, সমিতিরহাট ও ধর্মপুর ইউনিয়নের বহু গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে।

গহিরা-হেঁয়াকো সড়কের একাধিক অংশ পানিতে ডুবে গেছে।  বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক বন্ধ হয়ে পড়েছে। হালদা নদীর স্রোতে নাজিরহাট পৌরসভা ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কাঠের সেতুটি ভেসে গেছে।

ফলে দুই পাড়ের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সঙ্গে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন জানান, “নারায়নহাটের বেশ কিছু গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা সোলাইমান আকাশ জানান, “সর্তা খালের বাঁধ ভেঙে ধর্মপুর ইউনিয়নের অন্তত তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।”

বন্যার পানিতে বিভিন্ন এলাকার মাছের ঘের ও ধানসহ অন্যান্য ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। কৃষকরা পড়েছেন আর্থিক ক্ষতির মুখে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি বিজ্ঞান শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফা নাসরিন বলেন, “হালদা নদী বর্তমানে নারায়নহাট পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে রাতেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।”

ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, “বন্যা মোকাবিলায় চাল মজুতসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত বছরও ভয়াবহ বন্যায় ফটিকছড়ি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এখনও অনেক পরিবার সে ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ অবস্থায় নতুন করে বন্যা আতঙ্ক আরও গভীর হয়েছে।