ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নিহত নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য’র বড় ভাই সর্দার আমিরুল ইসলাম সাগর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দিয়েছেন। রোববার গঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর এনসিপি সমন্বয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
সাগর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালে তিনি সামাজিক মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানানোয় বহিষ্কৃত হন ছাত্রদল থেকে। পরে, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল সেই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে সংগঠনে পুনর্বহাল করা হয়।
“২০১৯ সালে ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পর আর কোনো দলে সক্রিয় ছিলাম না। কিন্তু জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও জাতীয়তাবাদী চিন্তায় আমি আজও বিশ্বাস করি। আমার বাবাও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা ছিলেন। সেই ঐতিহ্য থেকেই জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি — জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নতুন ধারায় এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা নিয়েই।”
উল্লেখ্য, আমিরুলের ছোট ভাই শাহরিয়ার আলম সাম্য, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন, গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদল টানা এক সপ্তাহ শাহবাগ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সাম্য ছিলেন চলমান ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানমুখী আন্দোলনের একজন অন্যতম মুখ। তার মৃত্যু আন্দোলনে নতুন গতি আনে।
সাম্যের মতো আমিরুল ইসলাম সাগরও ছিলেন ঐ আন্দোলনে সক্রিয়। এনসিপিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে তিনি জাতীয়তাবাদী ধারায় নিজের নতুন রাজনৈতিক পথচলার সূচনা করলেন।