শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে দোয়া মাহফিল এবং স্থানীয় রেজিস্টার হেফজখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে একবেলা খাবার বিতরণ কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরেফিন রিয়াদ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রদল নেতা বেলাল হোসাইন বাদশা এবং সঞ্চালনা করেন রিমানুল ইসলাম রিমন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরেফিন রিয়াদ বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম অগ্রনায়ক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য হয়েও তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, যা জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন আশা ও শক্তি জোগায়। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তার ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ ঘোষণাই মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর দেশের হাল ধরেন জেনারেল জিয়া। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্রে রূপান্তর করেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করেন তিনি। তাঁর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অবদান, বিশেষ করে সৌদি আরবের আরাফাত ময়দানে হাজীদের স্বস্তির জন্য নিমগাছ রোপণ আজও মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সে গাছ আজও আরবদের কাছে ‘জিয়া গাছ’ নামে পরিচিত।”
তিনি বলেন, “দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্রে শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ঘাতকদের হাতে নিহত হন। এদিনে আমরা তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং আল্লাহর দরবারে তাঁর জান্নাত কামনা করি।”
অনুষ্ঠান শেষে দোয়া, দরুদ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং রেজিস্টার হেফজখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে একবেলা খাবার বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।