চট্টগ্রাম নগরীতে রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। নগরীর বহু এলাকায় হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অফিসগামী যাত্রী, রোগী বহনকারী যান এবং সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী একদিনও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চকবাজারে আধুনিক সুপার মার্কেটের পাশের সড়কে কোমরসমান পানি জমেছে। একই অবস্থা চকবাজার কাঁচাবাজার সড়কেও।
কাতালগঞ্জ বৌদ্ধ মন্দিরসংলগ্ন সড়ক ও আবাসিক এলাকাগুলো হাঁটুসমান পানিতে নিমজ্জিত। নগরের কৈবল্যধাম এলাকার ইস্পাহানি গেট, ব্যস্ততম এলাকা জিইসি মোড়েও দেখা গেছে জলাবদ্ধতার ভয়াবহ চিত্র।
স্থানীয়দের মতে, বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই এ জলাবদ্ধতা নগর পরিকল্পনার দীনতা তুলে ধরেছে। মূলত অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাই এর পেছনে প্রধান কারণ।
আব্দুল কাইয়ুম, কাতালগঞ্জ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “বৃষ্টির কারণে সড়কে বাস-সিএনজি নেই বললেই চলে। রিকশাওয়ালারা অতিরিক্ত ভাড়া চায়। অল্প দূরত্বে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে হাঁটু পানি মাড়িয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে।”
এমদাদ হোসেন, জিইসি মোড়ে কর্মরত এক চাকরিজীবী জানান, “আগে এই এলাকায় পানি জমার নজির ছিল না। এখন দুই বছর ধরে দেখছি পানি জমছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে এভাবে উঁচু এলাকাও ডুবে থাকবে।”
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মোহাম্মদ ঈসমাইল ভূঁইয়া জানান, “সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলায় আগামী একদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। নাগরিকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।”