কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রম থেকে হঠাৎ করে ১,২৫০ জন স্থানীয় শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
তাদের দাবি, ব্র্যাক, কোডেক, ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি, কোস্ট ফাউন্ডেশন এবং জেসিএফ-এর মতো বিভিন্ন এনজিও রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য পরিচালিত স্কুলে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা—উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ দিলেও এবার শুধুমাত্র স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষক মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, “রোহিঙ্গা শিক্ষকরা যদি কাজ চালিয়ে যেতে পারে, তাহলে আমাদের হঠাৎ চাকরিচ্যুত করা হলো কেন? এটি পরিষ্কার বৈষম্য। আমরা এটা কিছুতেই মেনে নেব না।”
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ছাঁটাইয়ের মূল কারণ হিসাবে ‘অর্থ সংকট’ দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি স্থানীয়দের প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত।
বিক্ষোভকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। দাবি আদায় না হলে তারা হুঁশিয়ারি দেন“উখিয়া ও টেকনাফে এনজিওর যানবাহন চলাচলে বাধা, এমনকি সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, “তহবিল সংকটে থাকলে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা কার্যক্রম নয়, বরং পুরো প্রকল্প বন্ধ করা উচিত। স্থানীয়দের বাদ দিয়ে চলমান কার্যক্রম অন্যায় ও অমানবিক।”
বিষয়টি জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ফোন রিসিভ করেননি।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “অর্থসংকটের কারণে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রোববার (১ জুন) ইউনিসেফের সঙ্গে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে।”