শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে একক কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পদ হিসেবে না দেখে সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গিতে মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যে ভুল করেছে, আশা করি বিএনপি সেই ভুল করবে না।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে (টিআইসি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর-চট্টগ্রাম’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জিয়াকে সকল রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে মূল্যায়নের আহ্বান
ফারুকী বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতির জীবনের ওপর আলোচনা শুধুমাত্র বিএনপির লোকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। ভিন্ন দল ও মতের মানুষদের তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সীমিত পরিসরে হলেও সংস্কৃতিকে পরিবর্তনের চেষ্টা করছি, সেই প্রক্রিয়ায় জিয়াউর রহমানের জীবনকে তুলে ধরাটা গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা এখনও সংস্কৃতিগত সংকীর্ণতা থেকে বের হতে পারছি না, অথচ ৭০ ও ৮০ দশকের রাজনীতিবিদরা সাংস্কৃতিক অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব বুঝতেন। যদি জিয়াউর রহমান আরও কয়েক বছর বেঁচে থাকতেন, তবে হয়তো সেই অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি বাস্তবায়িত হতো।”
উপদেষ্টা ফারুকী দেশের সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক উদ্যোগের উল্লেখ করে বলেন, “নববর্ষে শুধু বাঙালি নয়—চাকমা, মারমা, গারো, সাঁওতালদেরও নিয়ে আমরা উৎসব করেছি। চাঁদরাতে ঈদ উদযাপন করেছি, যা দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম। বৌদ্ধ পূর্ণিমায় পাঁচ জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব হয়েছে। এই অন্তর্ভুক্তি সামনের দিনগুলোতেও চলবে।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, বিডি জবস.কম-এর প্রধান নির্বাহী একেএম ফাহিম মাশরুর, রাজনীতিবিদ সরোয়ার তুষার, কবি ও চিন্তক রেজাউল করিম রনি প্রমুখ।
স্মরণসভায় বক্তারা জিয়াউর রহমানের অবদান ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে গভীর আলোচনায় অংশ নেন এবং তাকে নতুন প্রজন্মের সামনে আরও সম্যকভাবে উপস্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।