বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম জেলায় অতি ভারী বর্ষণ এবং দমকা হাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ২৩৪ মিলিমিটার এবং গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত) ১৯৮.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রাস্তায় গাছপালা উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও ফটিকছড়ি উপজেলাগুলোতে গাছ পড়ে বেশ কিছু সড়ক একাধিক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে দুটি বিশালাকার গাছ উপড়ে পড়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর চৌমুহনী এলাকায় রাস্তায় গাছ পড়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো অপসারণ করে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসের কন্ট্রোল রুম কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, “আজ সকালে আমাদের বিভিন্ন টিম জেলার অন্তত ছয়টি উপজেলায় গাছ অপসারণের কাজ করেছে। সক্রিয়ভাবে কাজ করায় দ্রুতই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।”
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, বৃষ্টিপাতের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি এবং তা আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, “এই বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বেড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।”
বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিছু এলাকায় পানি হাঁটুর ওপরে উঠেছে, ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেকে।
