বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় টানা ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বেড়েছে। দুই জেলার প্রশাসন ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন ও সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করেছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সদরসহ ১০টি উপজেলায় — সদর, কাউখালী, কাপ্তাই, নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, রাজস্থলী ও লংগদু — পাহাড় ধসের সম্ভাব্যতা বিবেচনায় সতর্কতা জারি করেছে। পাহাড়ের পাদদেশ ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়িতে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ভেদভেদি, লোকনাথ মন্দির ও বিএডিসি এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “২০১৭ সালের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আমরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়েছি। একটি জীবনও যাতে ঝরে না যায়, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
প্রয়োজন অনুযায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।
পাহাড় ধসের আশঙ্কায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনও সরব হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে একটি দল শহরের শালবন, কলাবাগানসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সতর্ক করেন। মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় ও অন্যান্য কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চলবে।
উভয় জেলার প্রশাসন জানায়, পরিস্থিতির অবনতি হলে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে। এ ছাড়া খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার এবং জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা স্থানীয় হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।