চট্টগ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টি।
অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকা এবং আশপাশের উপজেলার অনেক অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের হালদা নদীতে প্রাকৃতিকভাবে প্রজনন করা কার্পজাতীয় মা মাছগুলো ডিম ছেড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। পরিবেশবিদরা এটিকে ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে দেখলেও অতিবৃষ্টির কারণে নদীর পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাহাড়ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
আবহাওয়ার এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস (লাইটারিং) কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে।
তবে বন্দরের জেটি, ইয়ার্ড, টার্মিনাল এবং অফডকগুলোর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (বিডব্লিউটিসিসি) সূত্রে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) লাইটার জাহাজগুলোর সিরিয়াল নির্ধারণের বার্থিং মিটিং হয়নি। বুধবার ২৬২টি লাইটার জাহাজের সিরিয়াল দেওয়া হলেও কেবল ৪৬টি জাহাজ বহির্নোঙরে যেতে পেরেছে।
বর্তমানে সাগর উত্তাল থাকায় এসব লাইটার জাহাজ কর্ণফুলী নদীতেই নোঙর করে অপেক্ষা করছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত আজও অব্যাহত থাকতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।