উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, নিম্নচাপ ও মৌসুমি বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে দমকা বাতাস, যা জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে উপকূলীয় ও শহরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, দেশ একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ মৌসুমি বৃষ্টিবলয়ের আওতায় রয়েছে। এটি ২০২৫ সালের প্রথম মৌসুমি বৃষ্টিবলয় এবং পঞ্চম সক্রিয় বৃষ্টিবলয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বৃষ্টিবলয় আগামী ৩ জুন রংপুর অঞ্চল হয়ে দেশ ত্যাগ করবে। বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে দেশের প্রায় সব বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় ১৭০ থেকে ২২০ মিলিমিটার, খুলনা ও বরিশালে ১৬০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার, সিলেটে ২০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৫০ থেকে ২২০ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ৮০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার, রংপুরে ১৭০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই নিম্নচাপ ও বৃষ্টিবলয় একদিকে যেমন কৃষি কাজে উপকার বয়ে আনতে পারে, অন্যদিকে অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে শহর ও উপকূলীয় জনপদে ভোগান্তি বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর