চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনালে কনটেইনার জট আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস (TEUs) হলেও মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত জমেছে ৪৫ হাজার ৩৭৭টি কনটেইনার। আগের দিন, সোমবার এ সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ৮২৭টি।
বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেলিভারি হয়েছে ৩ হাজার ৫৩৯ টিইইউএস। একই সময়ে বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ হাজার ৫২০ টিইইউএস, যার মধ্যে জাহাজ থেকে খালাস হয়েছে ৬ হাজার ৫১১ টিইইউএস, জাহাজে তোলা হয়েছে ৩ হাজার ৯ টিইইউএস।
তবে সোমবার এ সংখ্যা কিছুটা বেশি ছিল, ডেলিভারি হয়েছিল ৩ হাজার ৭৫৫ টিইইউএস।
বন্দর ব্যবহারকারী এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির ঘোষণার প্রতিবাদে দফায় দফায় কর্মবিরতির কারণে কাস্টমস শুল্কায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে কনটেইনার খালাসে। পাশাপাশি, সাগর থেকে মূল জেটিতে (জিসিবি, সিসিটি, এনসিটি, পিসিটি) জাহাজ ভেড়াতে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের সময় ও অভিজ্ঞ পাইলটের উপস্থিতি আবশ্যক হওয়ায় লোড-আনলোড প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল আজহার আগে শিল্পকারখানাগুলো ছুটিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে কনটেইনার ডেলিভারির গতি আরও কমে যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এনবিআর, কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফিডার অপারেটর ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
একজন ব্যবহারকারী বলেন, “বন্দরে জট কাটাতে হলে কাস্টমসের স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুতই নিশ্চিত করতে হবে। ডেলিভারি বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।”