ঢাকাশুক্রবার, ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রামে বর্ষা আসলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের হাতে নেই পর্যাপ্ত অর্থ — ৫ কোটি টাকায় ১৪৮ প্রকল্প!

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ২৮, ২০২৫ ১:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্ষা আসন্ন হলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক)। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের মূল দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি অর্থ সংকটে কার্যত অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে চসিককে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বরাদ্দ, যা দিয়ে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ১৪৮টি ক্ষুদ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের শর্ত দেওয়া হয়েছে।

চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরীর বিদ্যমান নালাগুলোকে ১৪৮টি ভাগে বিভক্ত করে প্রতিটি প্রকল্পের জন্য সর্বোচ্চ বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এসব প্রকল্পের আওতায় চলমান রয়েছে কেবল মাটি উত্তোলনের কাজ, যা বাস্তবতার নিরিখে নগরীর বিস্তৃত জলাবদ্ধতা সমস্যার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।

এছাড়া, বক্স কালভার্ট সংস্কারের জন্য আরও আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে চসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এত কম বাজেটে পুরো শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “টিআর কর্মসূচির সীমাবদ্ধতার কারণে বড় বাজেট নেওয়া যায় না। তাই ছোট ছোট প্রকল্পে বিভক্ত করে কাজ করতে হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০২২ সালে ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছিল, যা পরে কাটছাঁট করে ২৯৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। তবে এখনো প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নগরবাসী ও সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, এমন অপ্রতুল বরাদ্দ এবং ধীর প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে এ বছরও বর্ষা মৌসুমে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু ও কার্যকর জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষার আগে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনের আশ্বাস মিললেও, পরিকল্পনার অভাব এবং অর্থ সংকটে তা বাস্তবে রূপ পায় না। ফলে চিরচেনা চিত্রই যেন ফিরে আসছে—বর্ষা এলেই পানির নিচে ডুবে যাচ্ছে পুরো নগরী।