ঢাকাশুক্রবার, ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আবরার ফাহাদকে হত্যা “জায়েজ” ছিলো মন্তব্য ছাত্র ইউনিয়ন নেতার

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ২৮, ২০২৫ ৮:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বুয়েটের শহীদ শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা “জায়েজ ছিল” — বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম এর এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিষয়টি আলোচনায় আসে বুধবার (২৮ মে) সকালে শাহরিয়ার ইব্রাহিমের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে। সেখানে তিনি বিতর্কিতভাবে লেখেন, “জাশির কুত্তা আবরার ফাহাদকে হত্যা কেন জায়েজ ছিল দেখ তোরা।”

এই মন্তব্যের সূত্রপাত শহীদ আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজের একটি আগের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে। ফাইয়াজ সেখানে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিয়ে শাহবাগের নিরবতা এবং ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এই পোস্টের পর বার্তা বাজার একটি ফটোকার্ড তৈরি করে, যা শাহরিয়ার তার প্রোফাইলে শেয়ার করেন এবং সেখানে ওই বিতর্কিত মন্তব্য লিখেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উম্মে সালমা মন্তব্য করেন:
“লীগ আর বাম একই বৃন্তে দুটি ফুল। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আবরার ফাহাদকে নিয়ে এমন কটূক্তি করে, আর নতুন পুরাতন সব রাজনৈতিক দল তাদের শেল্টার দেয়, ছিঃ।”

আরেক শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন:
“বামরা ফ্যাসিবাদের দোসর না তারা ফ্যাসিবাদের উৎপাদক। ছাত্র ইউনিয়ন সক্রিয় থাকা মানে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি।”

বিতর্কের মুখে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।”

শাহরিয়ার ইব্রাহিম নিজেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই বক্তব্যের দায় স্বীকার বা প্রত্যাহার করেননি।

বামপন্থি রাজনীতির প্রতিনিধিত্বকারী ছাত্র ইউনিয়নের এই মন্তব্যে অনেকেই হতবাক। কারণ আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের সদস্যরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছিল, এবং এর বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক পক্ষই ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছিল। এখন একজন বামপন্থি নেতার এমন বক্তব্য ছাত্র রাজনীতির নৈতিকতা ও মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

অনেকেই বলছেন, এই মন্তব্য ছাত্রলীগের সহিংসতা ও রাজনৈতিক খুনের সংস্কৃতিকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দেওয়ার শামিল, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সমাজে ভয়ানক বার্তা দেয়।