চীনে আম রপ্তানির সূচনার দিন দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ উপলক্ষে একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলার পর এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়, যা এই রপ্তানির পথ প্রশস্ত করে। কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ জানান, প্রথম পর্যায়ে ৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হবে, তবে ভবিষ্যতে রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। এতে দেশের কৃষক ও আমচাষীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন তিনি। এর আগেই চীনের আগ্রহের প্রতীক হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত নিজেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকায় একটি আমবাগান পরিদর্শন করেছিলেন। এতে করে বাংলাদেশের আমের মান ও উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। চীনের বিশাল বাজারে বাংলাদেশের আম প্রবেশ করায় একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়বে, অন্যদিকে দেশের আমচাষীরা পাবেন নতুন উৎসাহ ও অর্থনৈতিক সুযোগ। এই উদ্যোগকে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখছে কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।