ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারকে জিম্মি করলে পরিণাম ভালো হবে না : হাসনাত আবদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ২৬, ২০২৫ ৪:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় সাংগঠনিক সফরের শুরুতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে সরকারি আমলাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সরকারকে জিম্মি করার চেষ্টা করলে তার পরিণাম ভালো হবে না। জনগণ এসব কর্মকর্তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে।”

সোমবার (২৬ মে) সকাল ১১টায় নগরীর বিপ্লব উদ্যানের জমায়েতে তিনি বলেন, “এখন সচিবালয়েও আন্দোলন হচ্ছে, বিক্ষোভ হচ্ছে, এনবিআর সংস্কারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ যখন ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলছিল, তখন আপনারা শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করে অফিস করেছেন। সেই সময়ে একজন সরকারি কর্মকর্তা পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি, কেউ শেখ হাসিনার চোখে চোখ রেখে কথা বলেননি। অথচ এখন আপনারা হুমকি দেন, অফিস চলতে দেবেন না, অফিস বন্ধ করে রাখবেন। এটা দ্বিচারিতা।”

হাসনাত আরও বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী ইতিহাসে আমাদের দুর্ভোগের রেজিমেন্ট হিসেবে যদি কোনও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করতে হয়, সেটা হচ্ছে সচিবালয়। আর দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত হচ্ছে এনবিআর। যারা একসময় ফ্যাসিস্ট সরকারের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারাই এখন সংস্কার কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “৫ আগস্ট পর্যন্ত যদি ফ্যাসিস্ট সরকার না পড়তো, তাহলে শেখ হাসিনার সরকার টিকে যেত। অথচ আজ আপনারা সেই সরকারের পদে বসে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে যদি আপনারা জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সরকারকে হুমকি-ধামকি দেন, সংস্কার কার্যক্রমে বাধা দেন, তাহলে মনে রাখবেন—জনগণ আপনাদের বিকল্প খুঁজে নেবে।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “৫ আগস্টের সময় রাস্তায় সাধারণ নাগরিকদের সন্তানদের গুলি করে মারা হচ্ছিল, তখন কি একজন সচিব, একজন আমলা বা সরকারি কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছিলেন? কেউ কি বিবেকের তাড়নায় প্রতিবাদ করেছিলেন? আজ যখন সরকার প্রশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থায় দুর্নীতিমুক্তি ও দক্ষতা আনার চেষ্টা করছে, তখন আপনারা প্রতিকূলতা তৈরি করছেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—আমার জীবন থাকতে, বাংলাদেশের লাখ লাখ আবদুল্লাহ বেঁচে থাকতে, যদি সচিবালয় থেকে কিংবা অন্য কোথাও থেকে সংস্কারের পথে বাধা আসে, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।”

এই সময় এনসিপির সঙ্গে সফরে ছিলেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তারা রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজার হাট থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেন। দুপুর ১২টায় রাউজান বাসস্ট্যান্ড, দেড়টায় হাটহাজারী ডাকবাংলো, আড়াইটায় ফটিকছড়ির বিবিরহাট বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজ ও নামাজের বিরতির পর বিকাল সাড়ে ৫টায় মীরসরাইয়ের বারইয়ার হাট বা মীরসরাই বাজারে অবস্থান নেন। সফরের শেষ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় সন্ধ্যা ৭টায় সীতাকুণ্ড বাজারে।