আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম নিয়ে যেন কেউ কারসাজি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সিটিজেনস ফোরামের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজার ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় থাকার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৬ মে) সকালে সিএমপি কার্যালয়ে আয়োজিত ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক ‘নিরাপত্তা সমন্বয় সভায়’ এ সংক্রান্ত ১০ দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মো. হুমায়ুন কবির। সভায় পুলিশ, র্যাব, জেলা প্রশাসন, চসিক, গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গৃহীত ১০ দফা সিদ্ধান্ত:
১. কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের চাঁদাবাজি ও খুনাখুনি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. কোনো ধরনের গুজব বা অন্য উপায়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি রোধে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার।
৩. পশুবাহী যানবাহন আটকে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং হাটে পকেটমার, মলম পার্টি, গামছা পার্টি, ছিনতাইকারীদের তালিকা করে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ।
৪. মহানগর এলাকায় স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে ইজারাদার ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
৫. গুরুত্বপূর্ণ পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণে মেশিন স্থাপন।
৬. ইজারাদারদের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
৭. অনুমোদন ছাড়া সড়কে পশুর হাট বসতে না দেওয়া।
৮. বাজারের আশপাশে অবৈধ পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি রোধে কার্যকর তদারকি।
৯. পশুর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধি রোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সিটিজেনস ফোরামের সঙ্গে সমন্বিত অভিযান।
১০. কোনো সিন্ডিকেট গড়ে কোরবানির চামড়া বেচাকেনা যাতে না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি।
নাগরিক সহায়তা ও তথ্য প্রদানের জন্য হেল্পলাইন:
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর): 01320-054080
উপ-কমিশনার (বন্দর): 01320-054200
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান): 01320-052515
নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ ও অভিযান): 01320-052515
সিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ: 01320-057998
সিএমপি জানায়, পশুর বাজার ও পরিবহন ঘিরে জননিরাপত্তা, মুদ্রা প্রতারণা, যানজট ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে কঠোর ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।