দেশে আবারও একটি এক-এগারোর মতো অরাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার (২৩ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। একইদিন রাজধানীর ধানমন্ডির এক হোটেলে জাতীয় যুবশক্তির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বক্তব্য দেন।
নাহিদ ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিকে সকল প্রকার আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন ও সার্বভৌমভাবে পরিচালনা করাই আমাদের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর আবারও দিল্লি থেকে ছক আঁকা হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীলতা ও বিভাজন তৈরির জন্য। গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আবারও এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশপন্থি ও ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতাকে জুলাইয়ের সংস্কার ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনা অফিসার ও সৈনিকদের প্রস্তুত থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ড. ইউনূসকে জনগণের প্রতি দেওয়া সংস্কার, বিচার ও ভোটাধিকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তিনি দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিক সমাধান আনবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র আসতে হবে এবং নির্বাচন হবে ওই টাইম ফ্রেমের মধ্যেই।”
তিনি জানান, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে “জুলাই সনদ” রচিত হবে। একইসঙ্গে নতুন সংবিধানের লক্ষ্যে গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচনের দাবি জানান।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় পরিচিতি ও সাধারণ সভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, “দেশে আবার অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা চলছে। এই ফাঁদে পা না দিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের সতর্ক থেকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
জাতীয় নাগরিক পার্টি সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কারপন্থী ও বিকল্প রাজনৈতিক উদ্যোগের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে। তাদের দাবি, বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য একটি সময়সীমাবদ্ধ রোডম্যাপ ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে।