চট্টগ্রাম বন্দরে ‘কমলা’ ঘোষণায় আমদানিকৃত একটি কনটেইনার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট। কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা অভিযানে কনটেইনারটি থেকে পাওয়া গেছে ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট এবং কিছু পরিমাণ কমলা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
তিনি জানান, ঢাকার মালিবাগের আউটার সার্কুলার রোডের মারুফ মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘আহসান করপোরেশনের’ নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে FRESH NAVEL ORANGE ঘোষণা দিয়ে একটি ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারে পণ্য আমদানি করা হয়। চালানটি খালাসের জন্য চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান ‘দিবা ট্রেডিং লিমিটেড’ ১৯ মে বিল অব এন্ট্রি জমা দেয়।
তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআইআর শাখা আমদানিকারক, রপ্তানিকারকের ওয়েবসাইট, পণ্যের উৎস দেশ, ব্যবসার ধরন ও ঘোষিত পণ্যের বিবরণ বিশ্লেষণ করে সন্দেহজনক চালান হিসেবে এটি চিহ্নিত করে। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ২১ মে কনটেইনারটি ‘ফোর্সড কিপ ডাউন’ করে কায়িক পরীক্ষায় নামে তারা।
জানানো হয়, পরীক্ষায় কনটেইনারে পাওয়া যায় ১ হাজার ২৫০ কার্টনে বিদেশি দুটি ব্র্যান্ডের ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট এবং ৩৮৮ কার্টনে ৫ হাজার ৪৩২ কেজি FRESH NAVEL ORANGE CLASS ONE।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ চালানটির মাধ্যমে প্রায় ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনারের নির্দেশে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং অন্যান্য প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
এ ধরনের ঘটনায় আমদানিকারকের অসাধু উদ্দেশ্য যেমন স্পষ্ট, তেমনি পণ্য ঘোষণার স্বচ্ছতা ও সতর্কতা বাড়ানোর দাবি আরও একবার উঠে এসেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।