চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদে ফেল করা এক কর্মকর্তার পদোন্নতির ঘটনায় অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মুহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে একটি টিম চসিক কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
দুদক কর্মকর্তা ইমরান বলেন, “আমরা অভিযানে নেমেছি এবং অভিযুক্তদের অনুপস্থিত অবস্থায় অপেক্ষা করছি। তারা এলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।”
সূত্র জানায়, চসিকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুপক চন্দ্র দাশ গত ৬ মার্চ সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদে পদোন্নতির জন্য নেওয়া মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করেন। ২০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ১০, কিন্তু রুপক পান মাত্র ৯।
এরপরও ২১ এপ্রিল দেওয়া অফিস আদেশে রূপকসহ আরও তিনজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বিস্ময়ের বিষয় হলো, পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় রুপকের নাম নেই, তবে পদোন্নতির আদেশে তার নামটি প্রথমে রাখা হয়।
চসিকের কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে, সহকারী প্রকৌশলী পদের জন্য প্রার্থীকে ন্যূনতম ৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক। রূপকের ক্ষেত্রে এই দুটি শর্তই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
তীব্র সমালোচনার মুখে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন রূপকের পদোন্নতি বাতিল করেন।