চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শতভাগ আবাসনসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। প্রায় এক দশক পর সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করল।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার ও কাটাপাহাড় সড়ক ঘুরে জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে চবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, “চবিতে দীর্ঘদিন ধরে আবাসন সংকট চলছে। প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়ে দ্রুত শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ছে।”
তিনি দাবি করেন, “ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রয়েছে। অতীতে যেসব বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাদের অনেকে এখনো শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এসব দোসরদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।”
চবি শিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “এই সাত দফা শুধু শিবিরের নয়, প্রতিটি চবিয়ান শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। এতদিন অপেক্ষা করেছি, এখন আর বসে থাকব না।”
ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবি:
১. শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে; তা না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা প্রদান।
২. সব বিভাগে সেশনজট নিরসন ও শিক্ষার আধুনিকায়ন।
৩. পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
৪. চাকসু নির্বাচন অবিলম্বে আয়োজন।
৫. টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুননির্মাণসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
৬. ফ্যাসিবাদী শাসনামলে নির্যাতনে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার, এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা।
৭. অবৈধ নিয়োগের বিচার ও নিয়োগপ্রাপ্তদের অপসারণ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম হোসেন রনি, চবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খলীল আনোয়ার প্রমুখ।