চট্টগ্রামের রাজনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়াত জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম তথা দেশের অগ্রগতিতে নোমান ভাইয়ের অবদান এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে বাকলিয়ার শহীদ এনএমএমজে ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, “স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় যে আদর্শ নিয়ে তিনি এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা আজও প্রাসঙ্গিক। কলেজটির গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি তাঁর সুযোগ্য সন্তান সাঈদ আল নোমান তূর্য বাবার আদর্শকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে চলেছেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, কলেজ প্রতিষ্ঠায় নোমান ভাইয়ের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ। “এটা দুঃখজনক। ক্ষমতায় এলে তারা স্বৈরাচারী মানসিকতায় গভর্নিং বডি নিজেদের মতো করে গঠন করে,” বলেন মেয়র।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নোমান ভাইয়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, পাথরঘাটা মহিলা কলেজ, এনায়েতবাজার মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, জেনারেল হাসপাতাল ও কর্ণফুলী সেতুর মতো উন্নয়ন প্রকল্পে তিনি মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে আমাদের হাতে তিনি বই ও কলম তুলে দিয়েছিলেন। তরুণদের আকর্ষণ করার জন্য সংস্কৃতি ও মানবিকতার চর্চাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এমন একজন উদার মনের মানুষকে চট্টগ্রামবাসী চিরকাল স্মরণে রাখবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি সাঈদ আল নোমান তূর্য। উপাধ্যক্ষ নুরুল আলম রাজু সভা সঞ্চালনা করেন।
শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন—চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান, বিএনপি নেতা এমএ সবুর, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, এসকে খোদা তোতন প্রমুখ।