ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৪ মে, বুধবার দুপুরে এদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক তৌফিক হাসান তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আদালতের মহানগর হাকিম জামসেদ আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন মাদারীপুর সদরের ঝাউদি ইউনিয়নের তামিম হাওলাদার (৩০), পলাশ সরদার (৩০) এবং ডাসার উপজেলার বাগমারা এলাকার সম্রাট মল্লিক (২৮)। জানা যায়, তারা আগে থেকেই নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তামিম ও পলাশ আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল খাঁ ও রুবেল খাঁর লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করতো। যদিও তাদের কোনো দলীয় পদ ছিল না, তবে দলীয় ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল তারা। পলাশের বাবা একসময় পালকি বহন করতেন এবং তামিমের বাবা জমি কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন।
অন্যদিকে, সম্রাট মল্লিক একজন মাদকাসক্ত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ডাসার থানাসহ ডিএমপির বিভিন্ন থানায় তিনটি মাদক মামলা রয়েছে। পূর্বে একটি ঘটনায় মসজিদের মাইক সংযোগ নিয়ে বিরোধে স্থানীয় ছাত্রদের মারধর করে, যা নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই তিনজন একসময় গ্রামে অবস্থান করলেও ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ঢাকা চলে যায় এবং সেখানেও বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অতীত কর্মকাণ্ড ও মামলার বিষয়ে আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে কাজ করছে।