বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন দলের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।”
ইসি কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এস.আর.ও. নং ১৩৭-আইন/২০২৫, তারিখ ১২ মে ২০২৫ অনুযায়ী, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব সংগঠনের কোনো ধরনের প্রচারণা, প্রকাশনা, গণমাধ্যমে উপস্থিতি, অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম, মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ ও সম্মেলন আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে।”
এই অবস্থায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর নিবন্ধিত (নম্বর-০০৬) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ সিদ্ধান্তের ফলে দলটি এখন থেকে কোনো নির্বাচন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে পারবে না, যতদিন না বিচারকার্য শেষ হয় এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।