জুলাই ঐক্যের টানা আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সবধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে, এবার অনলাইনে দলটির উপস্থিতিও নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ফলে মাঠের রাজনীতির পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণা ও সংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা প্রস্তুত এবং এখন কেবল উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্র জারির অপেক্ষা। পরিপত্র জারি হলে মেটা, গুগল, এক্সসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “পরিপত্র জারির সঙ্গে সঙ্গেই বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে, যাতে আওয়ামী লীগের কোনও অনলাইন কার্যক্রম অব্যাহত না থাকে।”
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরও দলটির ফেসবুক পেজ থেকে একাধিক পোস্ট দেওয়া হয় এবং দলীয় বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। পেজটি এখনো সচল রয়েছে, তবে সরকার বলছে পরিপত্র জারির পর ‘কোনও ধরণের ডিজিটাল উপস্থিতি সহ্য করা হবে না।’
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বাংলাদেশে এই প্রথম কোনও প্রধান রাজনৈতিক দল পুরোপুরি অফলাইন ও অনলাইন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসছে।