চট্টগ্রামে শনিবার (১০ মে) তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু শরীর অনুভব করছে তার চেয়েও বেশি, যেন ৪১ ডিগ্রি কিংবা তার ওপর। সকাল থেকেই নগরবাসীকে জড়িয়ে ধরেছে এক উত্তপ্ত আতঙ্ক— এক চিলতে রোদ যেন গায়ে আগুন ছুঁড়ে দিচ্ছে। নাগরিক জীবন কার্যত থমকে গেছে।
নগরের আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট কিংবা নিউ মার্কেট— সর্বত্র একই দৃশ্য। পানির বোতল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন বাসযাত্রী, রিকশাচালকের কাঁধে ভেজা গামছা, মাথা পেঁচানো পাতলা কাপড়। সকালের পর রাস্তাঘাটে জনসমাগম কমে আসতে থাকে। রিকশাচালক জালাল মিয়া বললেন, “এই গরমে ভাড়া মারতে গেলে শরীরের আর জোর থাকে না। পানির মতো ঘাম হচ্ছে, ইনকামও কমে গেছে।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বেড়েছে হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানালেন, “গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ১৫–২০ জন রোগী আসছেন। এদের বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা খোলা জায়গায় কাজ করেন।”
নগরের নির্মাণশ্রমিক, হকার, ফেরিওয়ালারা এই গরমে পড়েছেন সবচেয়ে বড় কষ্টে। নির্মাণশ্রমিক সাইফুল ইসলাম বলেন, “সিমেন্টের সঙ্গে কাজ করতেও শরীর পুড়ে যাচ্ছে মনে হয়। কিন্তু কাজ না করলে তো ভাতই জুটবে না।”
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা মাত্র ৪ শতাংশ। আগামীকাল (১১ মে) একই রকম গরম থাকবে, তবে ১২ মে থেকে শুরু হতে পারে সামান্য বজ্রবৃষ্টি, যা ১৩ মে পর্যন্ত চলতে পারে।