জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের যাবতীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত জরুরি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন,“আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, এই ট্রাইব্যুনাল এখন রাজনৈতিক দল বা তার অঙ্গসংগঠন এবং তাদের সমর্থকদের বিচার করতে পারবে।”
তিনি জানান, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমস্ত কার্যক্রম—বিশেষ করে অনলাইন ও সাইবার প্ল্যাটফর্মে—নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পরিপত্র আগামী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এ বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, গণ-আন্দোলনের রাজনৈতিক রূপরেখা হিসেবে পরিচিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিল। বিশেষ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার পর এই দাবির প্রতি সমর্থন বাড়ে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে একাধিক কর্মসূচিতে বিভিন্ন দল অংশ নেয়, যেখানে আওয়ামী লীগকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও গণবিরোধী’ দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে।