চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযান চালানোর ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই নেতা বিভিন্ন অপরাধ এবং অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে জামায়াত নেতৃবৃন্দ এ ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গত ৬ মে দিবাগত রাতে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় তিনি বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মো. আবু তাহের এবং সেক্রেটারি যায়েদ হোসাইন দাবি করেন, “দেলোয়ার হোসেন আমাদের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সংগঠনের নিবেদিত ব্যক্তি। কিছু কুচক্রী মহলের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেছে, যার মাধ্যমে সংগঠনের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাই তাদের উদ্দেশ্য।”
তবে সাতকানিয়া সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন মো. পারভেজ বলেন, “কাঞ্চনা ইউনিয়নে সম্প্রতি অপহরণসহ একাধিক অপরাধ ঘটেছে, যেখানে দেলোয়ার হোসেনের সংশ্লিষ্টতা আমরা পেয়েছি। তিনি অবৈধ অস্ত্র সরবরাহকারীদের তালিকাতেও রয়েছেন। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছি। এই কার্যক্রমের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।”
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাস দমন আমাদের মূল লক্ষ্য। যেখানেই অপরাধ সংগঠিত হবে বা আশঙ্কা থাকবে, আমরা সেখানে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। দেশের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।