অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় একাধিক ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও, তা নিয়ে লুকোচুরি শুরু করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। প্রাথমিকভাবে ভারতের প্রধান কয়েকটি গণমাধ্যম—দ্য হিন্দু, রিপাবলিক নিউজ ও জি নিউজ—জঙ্গিবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর প্রচার করলেও পরে সেগুলো তাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে ফেলা হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ভারতের তিনটি রাফাল, একটি সু-৩০ এবং একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদরদপ্তর ধ্বংসের কথাও বলা হয়েছে।
এই দাবির পরপরই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো তিনটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর দেয়। কিন্তু পরে তারা একে একে ওই প্রতিবেদনগুলো সরিয়ে নেয়, যা দেশটির পক্ষ থেকে তথ্য গোপনের চেষ্টা হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।
এদিকে, বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাম্পোর অঞ্চলে একটি অজ্ঞাত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও সেটি কোন দেশের, তা এখনো সরকারিভাবে স্পষ্ট নয়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিয়েছে।
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পাঞ্জাবের আকালি খুর্দ গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে। ভাটিন্ডার ভিসিয়ানা বিমানঘাঁটি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে এবং ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহের কাজ চলছে। তবে বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার জবাবে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, “ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী।”