চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহন কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা থাকলেও তা কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ এর বাণিজ্যিক পরিবহন শুরু হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। পতেঙ্গা থেকে শুরু হয়ে এটি ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত বিস্তৃত, এবং সেখান থেকে আরেকটি অংশ ফতুল্লা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও পরিকল্পনা) ড. এ কে এম আজাদুর রহমান জানিয়েছেন, এই পাইপলাইন চালু হলে মহাসড়কে জ্বালানি তেলবাহী ট্রাকের চাপ কমবে, ফলে যানজট হ্রাস পাবে। পাশাপাশি বছরে প্রায় ২৩৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতি বছর ২৭ লাখ টন ডিজেল পরিবহন সম্ভব হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে সরবরাহ হয়েছে ৬৭ লাখ টন তেল, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই ডিজেল। এর ৪০ শতাংশ ব্যবহার হয় শুধু ঢাকা বিভাগে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। নির্ধারিত সময় ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বর, তবে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২,৮৬১ কোটি টাকা, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৬৯৯ কোটি টাকায়। প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
চলতি সপ্তাহজুড়ে পরীক্ষামূলকভাবে তেল পরিবহন করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং বাণিজ্যিক পরিবহন কার্যক্রম শুরু হবে।